এখন টলি পাড়াতে কান পাতলে প্রতিদিনই প্রায় শোনা যায় রাম শুটিং করছে শ্যাম শুটিং করছে অমুক দাদা তমুক দাদা শুটিং করছে ।
একজন পরিচালককে তার নিজস্ব ইচ্ছায় নিজস্ব চিন্তা ভাবনায় কাজ করতে না দেওয়াটা এখন বাংলা চলচ্চিত্রে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, পরিচালক কখনো তা নিজের ইচ্ছায় কোন ক্যামেরাম্যান মেকআপ ম্যান, অভিনেতা ,অভিনেত্রী, এডিটর। নিজস্ব ইচ্ছায় নির্বাচন করতে পারবে না।
কারণ যারা ফেডারেশনে সদস্য তাদেরকে নিয়েই কাজ করতে হবে তা না হলে ফেডারেশনের কবলে পরিচালককে পড়তে হবে যে সকল ছোট ছোট প্রডিউসার আছে এখন পর্যন্ত জীবিত তাদের অজস্র টাকা পয়সা ধ্বংস হবে সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না মাঝপথে কাজ আটকে দেওয়া হবে এগুলো বহুদিন ধরে হয়ে আসছে এই বিষয়টি বন্ধ করা যাবে না ? বন্ধ করা তবেই যাবে যদি নবীন ও প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক থেকে শুরু করে যারা আছে টেকনিশিয়ানরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে প্রতিবাদ করতে পারবে যারা কাজ করতে ইচ্ছুক যারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াতে পারেনা তখন এই সমস্ত ফেডারেশন যারা মাথার উপরে বসে আছে তারা তুড়ি মেরে তাদেরকে বার করে দেওয়া যেতে পারে। আজ আমাদেরই এক সতীর্থ পরিচালককে তার কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বা হচ্ছে সম্পূর্ণটাই প্ল্যানিং করে এটা কেন হবে? একটা শিল্প একটি কারণে এই বাংলাতে শিল্প বলতে কোন কিছুই তেমন নেই অবশিষ্ট তারপরেও আমাদের বাংলা চলচ্চিত্র কে টিকিয়ে রাখাটা অনেকটা দায়ী হয়ে পড়েছে কেন এখনো পর্যন্ত টেকনিশিয়ান থেকে পরিচালক অভিনেতা অভিনেত্রীদের লড়াই করা শুরু হচ্ছে না তারা কি শুধুমাত্র ভোটে দাঁড়ানোর জন্য চুপ হয়ে আছে ভোটের সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদেরকে যেন ভোটে দাঁড় করাতে পারে এই সমস্ত বিষয়ে কোনদিন কেউ বড় আকারে প্রতিবাদ করতে পারবে না প্রতিবাদ করতে গেলেই আপনাকে আপনার উপরে যে সরকার হোক বা বিরোধীপক্ষ তাদের খাড়া নেমে আসবেই এই ফেডারেশনের ধুমধাম করে একের পর এক পরিচালকদের শুটিং বন্ধ করে দেওয়াটা এটা প্রতিনিয়ত তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এই অভ্যাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই হবে সকলকে, না দাঁড়ালে নিজস্বভাবে কোন পরিচালক তার স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না। কোন শিল্পী সেই ভাবে কাজ করতে পারবে না। ২০১০ সালের পর থেকে আমার মনে হয় না এখনও পর্যন্ত আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলচ্চিত্র পরিচালক ও অন্যান্য টেকনিশিয়ানদের নিয়ে কোনরকম চলচ্চিত্র বিষয়ক চর্চা এবং কর্মশালা করতে পেরেছে? যাও বা কান পাতলে শোনা যায় ছোটখাটো মাঝারি প্রোডাকশন হাউজ সঙ্গে যুক্ত প্রবীণ নবীন পরিচালক অভিনেতা-অভিনেত্রী তারা এই সমস্ত কর্মশালা গুলো পরিচালনা করেছে। কিন্তু এটা উচিত সরকারের সব সময় প্রতি বছর একটা করে কর্মশালা করা তাহলে নবীন চলচ্চিত্র পরিচালকরা যারা এই প্রফেশনের সাথে আসতে ইচ্ছুক বা যারা আগ্রহে তারা আরো অনেক দূর এগোতে পারবে। এই চলচ্চিত্রকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয় না চললে কোনদিনই বড় হওয়া যায় না। এখনকার সময় যারা কাজ করতে আসছে তারা টেকনোলজিকে খুব সুন্দর ভাবে ব্যবহার করে সহজেই কাজ করতে পারছে। আগে যেখানে ১০ জন লাগতো এখন সেখানে চারজনকে দিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাহলে কেন বলুন তো অন্যান্য টেকনিশিয়ান দরকার হবে আগের থেকে তুলনামূলকভাবে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি প্রচুর পরিমাণে তৈরি হচ্ছে একদিকে একের পর এক সিনেমা হল গুলো নয় বন্ধ হয়েছে অন্যদিকে ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি বাজার রমরমে বাড়ছে সেই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির উপরেও যদি টেকনিশিয়ান বা ফেডারেশন হস্তক্ষেপ করে তাহলে এই বিষয়গুলো কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমাদের লড়াই আমাদেরকেই করতে হবে যতই শাসক বিরোধী দল তারা কোনরকম কথা বলুক না কেন তারা কথা বলবে তাদের নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য তাই কোন রাজনৈতিক ভাবে না গিয়ে অরাজনৈতিকভাবে বাংলা চলচ্চিত্র কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার টাই আমাদের মূল লক্ষ্য হিসেবে আমরা মনে করি।