
বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন শুধু বিনোদনের মাধ্যম না, এটি মানুষের চিন্তা, ধারণা ও সংস্কৃতিকে এক সুতোয় বাঁধার এক অসাধারণ আবিষ্কার। ১৯২৭ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী ফাইলো টেলর ফার্নসওয়ার্থ প্রথম ইলেকট্রনিক টেলিভিশনের সফল প্রদর্শন করেন। এটিই ছিল আধুনিক টেলিভিশনের জন্ম মুহূর্ত। এরপর ধীরে ধীরে গবেষণা ও প্রযুক্তির উন্নতিতে টেলিভিশন মানুষের ঘরের পরিচিত সঙ্গী হয়ে ওঠে।
১৯৩৬ সালে বিবিসি বিশ্বের প্রথম নিয়মিত টেলিভিশন সম্প্রচার শুরু করে, যা বিশ্ব যোগাযোগের নতুন দুয়ার খুলে দেয়। যুদ্ধ, খেলাধুলা, সংস্কৃতি, বিনোদন—সবকিছু মানুষের চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠতে থাকে। ধীরে ধীরে টেলিভিশনের বিস্তার ঘটে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। ভারতে টেলিভিশনের যাত্রা শুরু হয় ১৯৫৯ সালে দিল্লি কেন্দ্রিক একটি পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের মাধ্যমে।
১৯৯৬ সালে জাতিসংঘ “ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন ডে” ঘোষণা করে, গণমাধ্যমের শক্তিকে সম্মান জানাতে। কারণ টেলিভিশন মানুষের ভাবনা বদলে দিতে পারে, খবর পৌঁছে দিতে পারে মুহূর্তে, আর শিক্ষাকে পারে আরো সহজ করে তুলতে।
আজও টেলিভিশন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ—একটি জানালা, যার মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে দেখি, বুঝি এবং সংযুক্ত হই।