
জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির ঐতিহ্যমন্ডিত রথীন্দ্রমঞ্চে অনুষ্ঠিত হল কালপুরুষ সাহিত্য পরিবারের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিকল্পনা ও পরিচালনায় ছিলেন কালপুরুষের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক অরুণিমা চ্যাটার্জী এবং উপদেষ্টা নির্মাল্য বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি শ্রী সদ্যোজাত, প্রদীপ কুমার আচার্য্য, বিশ্বনাথ চৌধুরী, সুনীল বণিক, শশীবালা বর্মন অধিকারী। সঙ্গীতশিল্পী জয়িতা বল চ্যাটার্জী তাঁর সুমধুর কন্ঠে পরিবেশন করেন অনবদ্য তিনটি গান। সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শর্মিষ্ঠা রায় ময়ুরাক্ষী। জয়িতা গাইলেন অরুণিমা চ্যাটার্জীর কথায় ও নির্মাল্য বিশ্বাসের সুরে ‘আমার পান সুপারি জীবন’ ও নির্মাল্য বিশ্বাসের কথা ও সুরে ‘আমার জল থই থই আকাশ।’ অনুষ্ঠানে পার্থপ্রতিম চট্টোপাধ্যায় ও মলি সিংহ রায়ের শ্রুতিনাটকটি ছিল মর্মস্পর্শী। দর্শকরা উপভোগ করেন শর্মিলি বিশ্বাসের তিনটি ভিন্নধর্মী নাচ। সৌম্যদীপ্তা দে ও আরুশ সরকারের ‘পাকা দেখা’ নাটকটি দর্শকদের উচ্চ প্রশংসা লাভ করে। মৌতৃষা চৌধুরীর পরিচালনায় নন্দিনী প্রোডাকশন হাউস নিবেদিত নৃত্য আলেখ্যটি ছিল মনোগ্রাহী। এছাড়াও গুঞ্জন সাহিত্য সংস্কৃতির মেলবন্ধন এবং সুরধ্বনি নিবেদিত শ্রুতিনাটকটি ছিল সুন্দর। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন মানস ঘোষ, দুলাল সুর, সমতা রায় প্রমুখ। এছাড়াও সঙ্গীত পরিবেশন করেন ডক্টর বৈশাখী দাস, অপর্ণা নাগ দাস, অপর্ণা দে। অনুষ্ঠানের সম্মানীয় অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পারমিতা মন্ডল, অতনু নন্দী, সঞ্জয় সরকার, অরিজিত ঘোষ, অর্পিতা কামিল্যা, সুলেখা বিশ্বাস, ইউসুফ মোল্লা, আব্দুল করিম। একক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হল বিদ্যুৎ মিশ্র, প্রদীপ কুমার আচার্য্য, তপন কুমার সাহা ও তনুশ্রী বসু পাত্রর। কালপুরুষের সুযোগ্য এডমিনদের মধ্যে সম্মানিত হলেন শঙ্খ শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, ফুল গাঙ্গুলী, তৃষা গোস্বামী চ্যাটার্জী, চঞ্চল প্রামাণিক, অপর্ণা নাগ দাস ও সূর্য্যোদয় রায়। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন অনিতা রায় মুখার্জী ও রাখী ব্যানার্জী।